সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড কলেজ কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ খায়রুল বশর চৌধুরী (রহ.)’র ৪০তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৬ অক্টোবর সোমবার চন্দনাইশের বরকলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল- পবিত্র খতমে কুরআন শরীফ, খতমে গাউসিয়া শরীফ, স্মারক আলোচনা সভা, কবর জেয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং মুনাজাত ইত্যাদি।
অধ্যক্ষ খায়রুল বশর চৌধুরী (রহ.) স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মরহুমের জ্যেষ্ঠপুত্র মুহাম্মদ আবদুল মালেক হিরো। সভায় উদ্বোধক ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ বরকল ২নং ওয়ার্ডের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সোলাইমান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। জিএম তৈয়ব আলী ও জিএম আহসান হাবীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এডভোকেট জিএম শাহাদত হোসাইন মানিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মেম্বার, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আলম খান চৌধুরী। অতিথি ও আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা গাজী মুহাম্মদ ইকবাল তাহেরী, মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, মুহাম্মদ আবদুল মতিন, মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন আলকাদেরী, মাওলানা মীর মুহাম্মদ জামশেদুল আলম আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ আবু হানিফ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ ইউছুফ চৌধুরী, মুহাম্মদ মফজল আলী কন্ট্রাক্টর, গাজী মুহাম্মদ মোসলেম খাঁ, মুহাম্মদ আমির হোসেন চৌধুরী, মাওলানা আবুল হোসাইন কাতেবী, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল বশর, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান আলী নুরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম, মাওলানা মুহাম্মদ নাঈম উদ্দীন, জিএম আবু হানিফ, জিএম জুনাঈদ সাব্বির, মুহাম্মদ সোলাইমান, মুহাম্মদ আবুল কাশেম, মোক্তার আহমদ, আহমদ ছাফা, রমিজ আহমদ, মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী টিপু, জিএম মারুফ হাবিব, মুহাম্মদ আজম, মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
এতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
অতিথিরা বলেন, অধ্যক্ষ খায়রুল বশর চৌধুরী (রহ.) ছিলেন বিরল জ্ঞানতাপস ও কীর্তিমান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন দরবারে আলীয়া কাদেরীয়া ছিরিকোট শরীফের মাশায়েখে কেরামের ফয়েজপ্রাপ্ত অনুগ্রহধন্য ব্যক্তিত্ব। দরবারের সাজরা শরীফে তাঁর স্বীকৃতি রয়েছে। তিনি ছিলেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর বিনয় প্রজ্ঞা উদারতা ও মহৎগুণাবলী সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। আজকের অবক্ষয়গ্রস্ত সময়ে তাঁর মতো বিদ্বৎগুণী মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব বড় প্রয়োজন। তিনি এলাকার ইতিহাসকে উজ্জ্বল করেছেন।
Leave a Reply